জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ১৫ ই আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অংশ নেন তারা।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সকালে টুঙ্গিপাড়া উপস্থিত হন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সমাবেশ পরিচালনা করে শিশুরা। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার তুলে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর শিশুদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন তিনি।
এদিকে, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আগমণ উপলক্ষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স পরিস্কার করা হয়েছে। আলোকসজ্জার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ, টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন।
এর আগে সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
সেখানে জাতির পিতার প্রতি আরও শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
উল্লেখ্য, জাতির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আন্দোলন-সংগ্রামে মুজিব হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনেও রয়েছে হাজারো ত্যাগ-তিতিক্ষার গল্প। এই দিনে তার জন্মের মধ্য দিয়ে যেন এসেছিল শোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা। কিশোর বয়সেই জানান দিয়েছিলেন তিনিই বাঙালির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি।
নদী-খাল আর শ্যামলিমায় ঘেরা গ্রামেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। স্কুলে পড়ার সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে খেটেছেন জেলও। মহানায়কের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা দেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।